রক্তে ইউরিক অ্যাসিড? – বাত নাতো?

রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তি দেখে অনেকেই দুশ্চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন, আবার কেউ কেউ ভাবেন, হাড় ও শরীরের ব্যথার কারণ এই ইউরিক অ্যাসিড।  ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কে আমাদের অনেক ভুল ধারণা আছে। সঠিক তথ্যগুলো কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক:

ইউরিক

অ্যাসিড বৃদ্ধি পায় কেন?

তিন ভাগের এক ভাগ খাবার থেকে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের সৃষ্টি হয় এবং দুই ভাগ পিউরিন নামের পদার্থ ভেঙ্গে তৈরি হয়। যদি কোনো কারণে এই ইউরিক অ্যাসিড তৈরির প্রক্রিয়ায় গোলমাল হয় বা কিডনি দিয়ে কম বের হয়, রক্তে এর মাত্রা বেড়ে যায়।

78

 

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কী হবে?

এই বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি করে না। তাই দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। কখনো কখনো
বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল তৈরি করে ঘিরায় প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এতে  ঘিরায় তীব্র ব্যথা করে, লাল হয়ে ফুলে যায়। তখন একে গাউট বা গেঁটে বাত বলে। এর ফলে কিডনিতে পাথরও তৈরি হতে পারে। শুরুতে গাউটে একটি মাত্র ঘিরা (বিশেষ করে, পায়ের বুড়ো আঙুল) আক্রান্ত হয়। একবার এই তীব্র আক্রমণের পর অনেক দিন আর কোনো (দ্বিতীয় দফায়) আক্রমণ হয় না।

কী কী খাওয়া নিষেধ?

অনেকে মাছ-মাংস, ডাল, বীজ, কিছু সবজি পুরোপুরি ছেড়ে দেন। আসলে খাবারে তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত
পিউরিনযুক্ত খাবার, কলিজা, সামুদ্রিক মাছ, লাল মদ,  যেমন লাল মাংস কমিয়ে খেতে হবে।

image 4742

ওষুধ কখন খাবেন?

উপসর্গ না থাকলে কেবল বাড়তি ইউরিক অ্যাসিডের জন্য কোনো ওষুধের প্রয়োজন নেই। নারীদের ১৩ ও পুরুষদের ১১ মিলিগ্রাম/লিটারের বেশি ইউরিক অ্যাসিড থাকলে চিকিৎসা নিতে হবে। এ ছাড়া বছরে একাধিকবার গাউটের আক্রমণ, কিডনিতে পাথর, গিরা নষ্ট হওয়া, কিডনির অকার্যকারিতার চিকিৎসা লাগবে। সাময়িক নয়, সাধারণত সারা জীবনই চিকিৎসা নিতে হয়। তাই নিশ্চিত না হয়ে ওষুধ শুরু করবেন না।

সংগ্রহিত:

 

Leave a Reply

Main Menu