এতো রোগ প্রতিরোধ করতে পারে জলপাই
শীতকাল আসছে। তাই বাজারে আসতে শুরু করেছে জলপাই। শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়। নিয়মিত এটি খেলে পেতে পারেন এমন সব উপকারিতা যেগুলো প্রতিটি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ চায়। দেখে নেয়া যাক এর এমন কিছু উপকারিতার কথা।
জলপাইয়ের গুণাগুণ:
১. হৃদযন্ত্রের উপকারিতা : মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে যখন চর্বি জমে, তখন হার্টএ্যটাক হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। জলপাইয়ের থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয়। এটিতে আছে মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
২. ক্যান্সার প্রতিরোধে : কালো জলপাই ভিটামিনেরই ভালো উৎস। এটিতে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাট আছে। জলপাইয়ের থাকা ভিটামিন ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। এতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে।
৩. ওজন কমাতে : যখন জলপাইয়ে থাকা মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট অন্য খাবারে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে গ্রহণ করা হয় তখন তা দেহের ভেতরের ফ্যাট সেলকে ভাঙতে সাহায্য করে। এর তেলেও আছে লো কোলেস্টেরল যা ওজন এবং ব্লাডপ্রেশার কমাতে সহায়ক।
৪. আয়রনের উৎস : বিশেষ করে কালো জলপাই আয়রনের উৎস, আয়রন আমাদের দেহে রক্ত চলাচল করতে সহায়তা করে, আর প্রাকৃতিক আয়রনের উৎসের জন্য জলপাই-ই সেরা।
৫. ত্বক ও চুলের যত্নে : কালো জলপাইয়ের তেল আছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিনা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। এর ভিতরের ভিটামিন ই ত্বকের মসৃনতা আনে। চুলের গঠনকে আরও মজবুত করে। ত্বকের ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তা রোধ করে এটি।
৬. চোখের যত্নে : জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ওষুধের কাজ করে ।
৭. অ্যালার্জি প্রতিরোধে : গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাই অ্যালার্জি প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভুমিকা রাখে।
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে : জলপাইয়ে যে খাদ্যআঁশ আছে তা মানুষের দেহের পরিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং হজমে সহায়তা করে।