স্বাস্থ্যসেবাকে আরো সহজ করেছে যেসব প্রযুক্তি! I Medistorebd.com
প্রযুক্তি যেমন ক্ষতি বয়ে আনছে পরিবেশ ও মানুষের ওপর তেমনি আশীর্বাদস্বরুপ কাজ করে যাচ্ছে চিকিৎসাব্যবস্থা আরো উন্নতকরণে। চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রযুক্তি এমনসব উদ্ভাবন করে চলেছে যাতে রোগভোগে মানুষের কষ্ট হ্রাস পাচ্ছে। রোগ নির্ণয় এবং নির্ময় এখন আরো সহজ। প্রযুক্তির উদ্বাবনের কোনো সীমানা নেই। নতুন নতুনসব উদ্ভাবন করে গবেষকরা পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। আজকে জানবো সেরকম কিছু উদ্ভাবনের কথা যা মানুষের জীবনীশক্তিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে।
রাত-বিরাতে হুট করে ডায়াবেটিস বা প্রেশার মাপা দরকার। এমন বিপাকের মূহুর্তে যদি আলাদিনের যাদুর চেরাগ হাতে থাকতো!
স্মার্ট ইনহেলারস
শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের জন্য ইনহেলারের অপর নাম জীবন। কিন্তু ঠিকঠাক মতো ব্যবহার না করলে ইনহেলারের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। অ্যাজমা এবং অ্যালার্জি নেটওয়ার্ক এর প্রধান টনি এ. ওয়াইন্ডারস এক প্রতিবেদনে বলেন ইনহেলার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সঠিকভাবে গ্রহণ করলে শতকরা নব্বইজন রোগীর ক্ষেত্রেই এটি পুরোপুরি কাজ করে। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই দেখা যায় রোগী ঠিক সময়মতো ইনহেলার নিতে ভুলে যাচ্ছে। দিনে যতবার ইনহেলার নিতে বলা হয়েছে তার থেকে বেশি কিংবা কমবার নিচ্ছে। এমন সমস্যাগুলোর সমাধান করবে স্মার্ট ইনহেলার৷ এতে রয়েছে বিল্ট-ইন ব্লুটুথ ডিভাইস যা রোগীর সব তথ্য রেকর্ড করে রেখে স্মার্টফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও এটি দিনে কতবার ইনহেলার ব্যবহার করা হয়েছে তা শনাক্ত করতে পারে। রোগীকে ওষুধ নেয়ার সময় মনে করিয়ে দিতে পারে। এমনকি রোগীকে ঠিক সময়মতো ইনহেলার নিতে উৎসাহিত করে! প্রতিবার ইনহেলার গ্রহণ করার সময়, তারিখ, স্থান এবং ডোজ কতটুকু নেয়া হয়েছে সবই রেকর্ড করে রাখতে পারে এই স্মার্ট ইনহেলার। এটি শ্বাসকষ্টের রোগীদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করতে পারবে বলে চিকিৎসকদের ধারণা।
টেলিথ্যারাপি
স্মার্টফোনের এই যুগে এখন আর মানসিক অবসাদ কিংবা মানসিক সমস্যার জন্য সরাসরি সাইক্রিয়াটিস্টের দারস্ত হওয়ার প্রয়োজন পড়েনা। বিভিন্ন অ্যাপস এবং সাইটের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সম্ভব। একবিংশ শতাব্দীর মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকটাই সচেতন, সময়ের সাথে সেই সচেতনতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্যই বৃদ্ধি পাচ্ছে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের চাহিদা। টেলিথ্যারাপির মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ভিডিও কলের দ্বারা মনোরোগ চিকিৎসকের সাহায্য বা থ্যারাপি নিয়ে থাকেন। আসলে টেলিথ্যারাপি এবং গতানুগতিকধারার থ্যারাপির মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। শুধু টেলিথ্যারাপিতে আপনাকে চিকিৎসকের চেম্বারে উপস্থিত হতে হচ্ছেনা বরং চিকিৎসকই আপনার কাছে উপস্থিত হচ্ছে। স্কাইপ, ফেসটাইম ইত্যাদি অ্যাপস ব্যবহার করে টেলিথ্যারাপি নেয়া যায়। টেলিথ্যারাপির সুবিধা হচ্ছে আপনি যে কোনো জায়গা থেকেই সাইক্রিয়াট্রিস্টের সাথে কথা বলতে পারছেন, প্রয়োজন হচ্ছে শুধু ইন্টারনেট কানেকশনের। আপনি নিজের সুযোগমতো যে কোনো সময়ে যে কোনো স্থানে বসে টেলিথ্যারাপি নিতে পারবেন। এই সুবিধাগুলোর জন্য দিনেদিনে টেলিথ্যারাপির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।