Providing a broad selection of health products and medical essentials with easy, nationwide delivery in Bangladesh.

Hotline: 01405100400

সুন্দর ঠোঁটের সাজসজ্জা ও পরিচর্যা!!

ঠোঁটের প্রকৃত সীমারেখার ঠিক বাইরে আউট লাইন এঁকে নিবেন লিপ লাইনার বা লিপ ব্রাশের সাহায্যে। এখন গাঢ় রঙের লিপস্টিক আউট লাইন বরাবর সারা ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট অনেক ভরাট দেখাবে। সবশেষে লিপগ্লস ব্যবহার করে ঠোঁট বাড়তি চক্চকে করে নিন।

পাতলা ছোট ঠোঁট

ছোট-পাতলা ঠোঁট ভরাট ও বড় দেখানোর জন্য ঠোঁটের আসল সীমারেখা সামান্য বাড়িয়ে আউটলাইন এঁকে নিন। এবার গাড় বা হালকা রঙের লিপস্টিকে ঠোঁট ভরাট করে নিন।

দুই কোণ চাপা ভরাট ঠোঁট

যাদের ঠোঁট এ ধরনের তারা আউট লাইন আঁকার সময় ঠোঁটের দুই কোণ বাড়িয়ে মানানসই আউট লাইন আঁকবেন। এ ধরনের ঠোঁটে সব সময় হালকা রঙের লিপস্টিক লাগালে ভাললাগে।

ফোলা ঠোঁট

যাদের ঠোঁট একটু ফোলা ধরনের তারা ঠোঁট মানানসই করার জন্য ঠোঁটের প্রকৃত সীমারেখা বরাবর ম্যাচিং শেড ব্যবহার করে আউট লাইন আঁকুন। এবার ওপরের ঠোঁট ও নিচের ঠোঁট ভরাট করুন যথাক্রমে হালকা ও গাঢ় রঙের লিপস্টিক দিয়ে। ফোলা ঠোঁট হলে লিপগ্লস না লাগানোই ভালো। তবে ফোলা ঠোঁট যদি মুখশ্রীর সাথে মানান সই হয় তা হলে শুধু মাত্র নিচের ঠোঁটে লিপগ্লস লাগাতে পারেন।

ভরাট ঠোঁট

ভরাট ঠোঁটের ক্ষেত্রে প্রকৃত সীমারেখা বরাবর বা সামান্য কমিয়ে আউট লাইন আঁকুন। ঠোঁটের দু’কোণায় আউটলাইন মেলাবেন না। সামান্য ফাঁক রাখবেন। এবার গাঢ় বা মাঝারি রঙের লিপস্টিকে ঠোঁট ভরাট করুন। ভরাট ঠোঁটে কখনো লিপগ্লস ব্যবহার করবেন না।প্রসারিত ঠোঁট
প্রসারিত ঠোঁটের জন্য আউটলাইন আঁকুন হালকা রঙের লিপস্টিক লিপ-ব্রাশে নিয়ে বা হালকা রঙের লিপলাইনার ব্যবহার করে। দুই কোণায় সামান্য ফাঁক রাখবেন। যে রঙের লিপস্টিক দিয়েই ঠোঁট ভরাট করুন না কেন, তা ঠোঁটের মাঝের অংশে লাগান গভীর করে। আর দুই পাশে লাগান অপেক্ষাকৃত হালকা করে।
এই হলো মোটামুটি ঠোঁটের মেকাপ। শেষ করার আগে যে কথাটি কথা না বললেই নয়, তা হলো লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে কোনো ব্র্যান্ডেরই ব্যবহার করেন না কেন- এটি যেন আপনার ঠোঁটকে উজ্জ্বল, চকচকে ও চেহারার সাথে মানানসই করে তুলে সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন।

 

ঠোঁটের পরিচর্যা 
ঠোঁট হবে আকর্ষণীয়, এটাই সবার কাম্য। কিন্তু ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় চামড়া ওঠা, ফাটাভাব ও কালচে হওয়া খুবই নিয়মিত সমস্যা। ঠোঁট মিউকাস মেমব্রেন দ্বারা আবৃত। ঠোঁটের ত্বক খুবই নরম ও সেনসেটিভ। ঠোঁটে কোনও তেলগ্রন্থি’ থাকে না। তাই বাইরের আবহাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা ঠোঁটের জন্য বেশ কঠিন। ঠাণ্ডা-গরম, সূর্যরশ্মি, দূষণ সবই ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া ঠোঁট কামড়ানো বা জিভ দিয়ে ঠোঁট বারবার ভেজানোও ক্ষতিকর।

অপ্রয়োজনীয় প্রসাধন
অপ্রয়োজনীয় প্রসাধন ঠোঁটকে শুষ্ক করে তোলে। সাময়িক সৌন্দর্যের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রসাধন ব্যবহার করবেন না।

টুথপেস্ট

টুথপেস্ট আমাদের ঠোঁটের সংস্পর্শে আসে দু’বেলা। তাই যথাযথ টুথপেস্ট ব্যবহার না করলে ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে।

– প্রয়োজনে যে টুথপেস্ট ব্যবহার করছেন তা বদলে ফেলুন। লক্ষ্য রাখবেন, সাদা রঙের টুথপেস্ট সাধারণত ভালো হয় ঠোঁটের জন্য।

 

 

লিপস্টিক
লিপস্টিকের কারণে ঠোঁটে অ্যালার্জি ও ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনার ঠোঁটে যে কোম্পানির লিপস্টিক কোনও প্রতিক্রিয়া করবে না, সেটাই ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে দামী কোম্পানির লিপস্টিক ব্যবহার করা ভালো।

– যথাযথ লিপস্টিকও কিন্তু ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। তবে এক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ভিটামিনসমৃদ্ধ ও অয়েলবেসড লিপস্টিক ঠোঁটের জন্য ভালো। তবে লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের ক্ষতি হলে সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যবহার বন্ধ রাখুন।

লিপ বাম ও চ্যাপস্টিক

ফাটা ঠোঁটের জন্য লিপ বাম ও চ্যাপস্টিক প্রয়োজন। এটা ঠোঁট কোমল ও মসৃণ করে। তবে অতি সুগন্ধিযুক্ত ও রসযুক্ত চ্যাপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো।

– পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভেসলিন ব্যবহার করুন। যতক্ষণ বাড়িতে থাকবেন ঠোঁটে ভেসলিন লাগাবেন। এছাড়া সূর্যমুখী তেল ঠোঁটের জন্য খুব ভালো। এটা দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ভেসলিন লাগাতে ভুলবেন না।

 

সাবান
ঠোঁটের ত্বক সংবেদনশীল বলেই ঠোঁটে সাবান দেবেন না। চোখের চারপাশ এবং ঠোঁটে সাবান ব্যবহার করলে ক্ষতি হয়।

– সাবান ও ফেসওয়াশ ঠোঁটে লাগাবেন না।

ধুমপান
ধুমপান ঠোঁটের ত্বকের ক্ষতি করে ও কালচেভাব আনে।

– সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ভিটামিন বি এর অভাব
ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁট ফেটে যেতে পারে ও ঠোঁটের কোণে ঘা হতে পারে। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

– ভিটামিন, প্রচুর সবুজ শাক-সবজি ও ফল খাবেন।

 



ত্বকের অসুখ

ত্বকের অসুখ যেমন একজিমা, অ্যালার্জি ইত্যাদির কারণেও ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। এতে চিকিৎসার প্রয়োজন।

– ঠোঁট বারবার জিভ দিয়ে ভেজাবেন না বা ঠোঁট কামড়াবেন না।


শুষ্ক ঠোঁটের যত্ন

ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ইমোলিয়েন্ট, পেট্রোলিয়াম জেলি, কোল্ডক্রিম ইত্যাদি ঠোঁটে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

– ঠোঁটের মেকআপ ওঠাবার জন্য তুলোয় ভেসলিন লাগিয়ে আলতো ঘসে তুলবেন। কখনও লিপস্টিক লাগানো অবস্থায় ঘুমাতে যাবেন না।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *