মেয়েরা কি চায়? জানেন না স্বয়ং মনোবিজ্ঞানীরাও!! জেনে নিন মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণা ফল।
একজন মেয়ে আসলে কি চায়? এমন প্রশ্নের উত্তর বোধকরি কোন মেয়েই দিতে পারবেনা। এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে যে কোন মেয়েই অপারগ। তবুও যারা এ প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী তাদের কথা চিন্তা করেই এগিয়ে এসেছেন মনোবিজ্ঞানীগণ। নারীরা তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে কেমন আশা করেন, এমনই পছন্দের ১২ টি গোপন বিষয় গবেষণায় উঠে এসেছে। । আসুন জেনে নিই কি সেই গোপন বিষয়গুলো-
১) প্রশংসা করুনঃ মেয়েরা তার সৌন্দর্যের প্রশংসা সুনতে পছন্দ করে; তাই সে যদি নতুন কোন পোশাক পরে, চুল কাটে কিংবা কোনধরনের সাজসজ্জা করে তবে তাকে সুন্দর লাগছে এ কথাটি বারবার বলুন। সবচেয়ে ভাল হয় সে আপনাকে জিজ্ঞেস করার আগেই তার প্রশংসা করলে কারন, এতেকরে তার প্রতি আপনার আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে যা মেয়েদের অত্যন্ত পছন্দ।
২) মুখোমুখি বসে কথা বলুনঃ মেয়েরা সাধারনত পাশাপাশি বসার চাইতে মুখোমুখি বসতে পচ্ছন্দ করে। মেয়েরা চায় তার সঙ্গী তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুক।
৩) নাটকীয় রোমান্টিকতাঃ সম্পর্ক যত নতুন কিংবা পুরাতনই হোক না কেন, মেয়েরা সবসময়ই রোমান্টিকতা পছন্দ করে। ফুল, মোমবাতির আলোয় ডিনার, দুয়েক লাইন কবিতা ইত্যাদি নাটকীয় রোমান্টিকতা মেয়েরা সাধারনত খুব পছন্দ করে।
৪) সৌজন্য বোধঃ আদিকাল থেকেই পুরুষের সৌজন্য বোধ নারীকে আকৃষ্ট করে। একজন বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানীর মতে নারীরা কায়িক ভাবে যথেষ্ট সক্ষম, যেমন একটি চেয়ার টেনে বসা কিংবা দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকা ইত্যাদি কাজ সে অনায়াসেই করতে পারে তবে সৌজন্য প্রকাশ করে তার জন্য এ কাজগুলো কেও করলে সেটি তার ভালোলাগার স্থানে যথেষ্ট নাড়া দেয়।
এছাড়া সম্পর্কের শুরুতে কিংবা রোমান্সের বেলায় পুরুষের অগ্রবর্তী ভূমিকাই নারীরা প্রত্যাশা করে।
৫) সংবেদনশীলতাঃ সংবেদনশীল পুরুষ সবসময়ই মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করে। বিশেষকরে বিপর্যস্ত বা দুঃখের সময়ে সংবেদনশীলতা প্রকাশ করে খুব সহজেই তাদের নিকটে পৌঁছা যায়। যেমন, কান্নার সময় একটি টিস্যু পেপার এগিয়ে দেয়া, একটুখানি পাশে বসা কিংবা হাত বুলিয়ে দেয়া ইত্যাদি ছোটছোট কাজও অনেক চমকপ্রদ ফলাফল বয়ে আনতে পারে।
৬) পোশাক পরিচ্ছদঃ স্টাইল সময়ের সাথে পাল্টায় কিন্তু একজন পুরুষ তার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই পোশাক পরিচ্ছদে কতটুকু যত্নবান বা সচেতন তা নারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এছাড়া একজন নারীর পছন্দ মোতাবেক পোশাক পরিচ্ছদ করেও তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব।
৭) লাল রঙঃ মেয়েদের অবচেতন মন পর্যালোচনা করে মনোবিজ্ঞানীগণ এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে লাল রঙের প্রতি মেয়েদের একধরনের আগ্রহের অনুভূতি কাজ করে। এক গবেষণায় দেখা যায় যে, লাল পোশাকের পুরুষগণ মেয়েদের কাছে অধিক শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় হিসেবে গণ্য হয়। যদিও সামগ্রিক লাল পোশাক কোনভাবেই মানানসই নয় তবে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিয়ে পোশাকের বিশেষ কোন অংশে লাল রঙের ব্যবহার আপনাকে নারীর কাছে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করতে পারে, যেমন- সাদা সার্টের সাথে লাল টাই।
৮) সে আপনার উপদেশ চায় নাঃ যখন কোনকিছু তাকে বিব্রত করে তখন সে আপনার কাছ থেকে উপদেশ সুনতে চায় না, চায় আপনি তার কথাগুলো মন দিয়ে সুনুন। যদিও ছেলেরা সমস্যা সমাধানের বিষয়েই বেশি আগ্রহী এবং খুব দ্রুত এ বিষয়ে মনোনিবেশ করতে চায়, তবে এধরনের ক্ষেত্রে মেয়েরা চায় তার সঙ্গী তার কথাগুলো সোনার ব্যাপারেই মনযোগী হোক। তাই, তার কথা সোনার ব্যাপারেই বেশি মনযোগী হওন, এতে করে পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
৯) শুধু মাথা ঝাঁকালেই চলবে নাঃ তার কথাগুলো সোনা যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ তার সাথে অংশগ্রহণ করা। তাই শুধু মাথা ঝাঁকানোই যথেষ্ট নয়, কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে সে আপনাকে বলার সুযোগ দিবে, এ সময় তার সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করুন। এ ধরনের মুহূর্তে উপদেশ দেবার ইচ্ছা সংবরন করা বাঞ্ছনীয়।
১০) একটুখানি কৌশলী হতে হবেঃ নিজেদের একান্ত মুহূর্তগুলো কিভাবে কাটবে সে বিষয়ে মেয়েরা কথা বলতে চায় কারন তারা সঙ্গীকে সুখী করার ব্যাপারে আগ্রহী; আপনিও কৌশলে প্রশ্ন করে তার পছন্দগুলো জেনে নিন এবং তা প্রয়োগের চেষ্টা করুন। একটি সুন্দর যুগল জীবনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
১১) সম্পর্কের অবস্থা পর্যালোচনা করুনঃ নিজেদের সম্পর্কে আলোচনা করা মেয়েদের অত্যন্ত পছন্দের বিষয়। এটি হতে পারে পারিবারিক বিষয়, নিজেদের একান্ত মুহূর্ত, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা কিংবা সম্পর্কের প্রাপ্তি অথবা চাহিদা সম্পর্কে আলোচনা।
১২) শুধু শারীরিক সম্পর্ক নয় আবেগ, স্পর্শ এবং একান্ত কিছু সময় মেয়াদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই শারীরিক সম্পর্কে গড়াতে তাড়াহুড়ো করা একেবারেই অনুচিত।
সকলের যুগল জীবন সুখী ও সুন্দর হোক।