টক করমচার মিষ্টি গুণাগুণ! জানা আছে কি?
করমচা টক স্বাদের ছোট আকৃতির একটি রঙিন ফল। ফল হিসেবে বা আচারে করমচার চলে নানান বিচার। সুস্বাদু এ ফলে রয়েছে উন্নতমানের অনেক পুষ্টিগুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম করমচাতে রয়েছে- এনার্জি ৬২ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ১৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.৫ গ্রাম, ভিটামিন এ ৪০ আইইউ, ভিটামিন সি ৩৮ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেভিন ০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.২ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৬০ মিলিগ্রাম, কপার ০.২ মিলিগ্রাম। আজ জেনে নেব ছোট্ট এই ফলটির নানান ধরণের মিষ্টি গুণ সম্পর্কে।
* যকৃত ও কিডনীর রোগ প্রতিরোধে করমচা সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম শরীরের দূষণ বহিষ্কারকরণে সহায়তা করে।
* করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
* শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও করমচা সাহায্য করে।
* করমচা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা খাবারে রুচি বাড়ায়।
* মৌসুমী সর্দি-জ্বর নিরাময়ে সাহায্য করে। স্কাভি, দাঁত ও মাঢ়ির নানা রোগ প্রতিরোধে করমচা সাহায্য করে।
* করমচাতে কোনো ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই। ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য এ ফল খুব উপকারী।
* বাতরোগ ও ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী।
* করমচাতে উপস্থিত ভিটামিন বি গায়ের চুলকানিসহ ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* করমচা কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়া পেটের নানা অসুখ নিরাময়েও করমচা উপকারী।
* শরীরের ক্লান্তি ও বার বার হাই তোলা থেকে মুক্তি পাবার জন্য করমচার রস বেশ কাজে দেয়।
* করমচাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য খুবই উপকারী।
* করমচার কার্বোহাইড্রেট কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* করমচা ত্বক ভালো রাখে ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
এই লিখাটি পড়ে আপনি যদি একটু হলেও উপকৃত হন, তবে লিখাটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের উপকৃত হবার সুযোগ করে দিন !
(বিঃদ্রঃ লিখাটি সংগ্রহীত)